সৌম্য-তাসকিনের বাদ পড়ার কারণ জানালেন প্রধান নির্বাচক

অনেকদিন ধরে চেনা ছন্দে নেই সৌম্য। গত বছর থেকেই রানখরায় ভুগছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের সর্বশেষ আসরেও ব্যাট কথা বলেনি তার হয়ে। সর্বশেষ ছয় ওয়ানডেতে তার ব্যাট থেকে এসেছে মোট ৪৬ রান। সর্বোচ্চ ২৮। তাও আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ২০১৪ সালে বাংলাদেশ দলে অভিষেক হওয়ার পর এবার নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো পারফরম্যান্সের কারণে দল থেকে বাদ পড়লেন সৌম্য। ২০১৬ সালে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও দল থেকে বাদ পড়েছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।

ছন্দ হারানো সৌম্যকে বাদ দেওয়া নিয়ে নান্নুর ব্যাখা, ‘সৌম্য সব ফরম্যাটেই কিছুদিন ধরে খেলে যাচ্ছে। ওর প্রতিভা নিয়ে কোনোরকম প্রশ্ন নেই। যেহেতু একটু ধারাবাহিকতার মধ্যে নেই, এই জন্য আমরা একটু ব্রেক দিয়েছি। সৌম্য আমাদের পরিকল্পনার মধ্যেই আছে, যেহেতু আমাদের পুলভুক্ত খেলোয়াড়। আশা করি ও আবার ফর্মে ফিরে আসবে।’

অন্যদিকে তাসকিনের অবস্থাও অনেকটা সৌম্যের মতোই। সর্বশেষ পাঁচ ওয়ানডেতে ডানহাতি এই ফাস্ট বোলার উইকেট নিয়েছেন মাত্র চারটি। যার মধ্যে টানা তিন ওয়ানডেতে ছিলেন উইকেট শূন্য। দল থেকে বাদ পড়ার কারণ হিসেবে তাসকিনের ধারাবাহিকতার অভাবকেই সামনে টেনে আনলেন প্রধান নির্বাচক, ‘তাসকিন আহমেদের একই অবস্থা।  সর্বশেষ দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে সে প্রত্যাশিত ফর্মে ছিল না। সেই হিসেবে আমরা মনেকরি ওর ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার প্রয়োজন আছে। বিশেষ করে লংগার ভার্সন ক্রিকেট। এই কারণেই তাকে ব্রেক দেওয়া হয়েছে।’

২০১৫ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাউন্ডারি বাঁচাতে গিয়ে কাঁধে চোট পান এনামুল হক বিজয়। ওই ইনজুরিতে ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ছিটকে যান বিশ্বকাপ থেকে। ইনজুরি কাটিয়ে খেলায় ফিরলেও ডাক পাননি জাতীয় দলে। এরপর বিপিএল, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ও জাতীয় ক্রিকেট লিগে ধারাবাহিক পারফর্ম করে নির্বাচকদের নজর কেড়ে ফিরলেন দলে। ডাক পেয়েছেন বোলিং অলরাউন্ডার আবুল হাসান রাজুও।

দীর্ঘদিন পর এই দুই ক্রিকেটারকে ফেরানোর ব্যাখায় নান্নু বলেন, ‘বিজয়ের কথা বলতে পারি। ও যথেষ্ট ভাল পারফরম্যান্স করেছে। দুই বছর ধরে রান করছে ঘরোয়া ক্রিকেটে। আবুল হাসান রাজুকে কন্ডিশনের কথা চিন্তা করে আনা হয়েছে। একটা বাড়তি পেস বোলার নিয়েছি, যার বল সুইং করানোর ক্ষমতা আছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment